Best electric motorcycle in Bangladesh
September 17, 2020

দিন দিন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহার বাড়ছে। এর অন্যতম প্রধান কারন এর মেন্টেনেস করা সহজ।
দৈনন্দিন ছোট খাটো চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই বাইকে আপনি বাড়ির কাছের জেকোন যায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
বাস্তবিকপক্ষে, শহরের বিভিন্ন স্থানে আপনাকে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার জন্য ইলেকট্রিক বাইক একটি আদর্শ বাহন। এর গতিও নিরাপদ, ঘণ্টায় সাধারণত ৪০-৭০ কিলোমিটার।
Best scooter in Bangladeshরিচার্জেবল ব্যাটারির সাথে ইলেকট্রিক মোটরের সমন্বয়ের কারণে ইলেকট্রিক বাইক অন্যান্য বাইক থেকে আলাদা হয়ে থাকে। গ্যাসোলিনের পরিবর্তে এগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে যাওয়ার জন্য ব্যাটারিটি চার্জ করে নিতে হবে।
একটি ইলেকট্রিক বাইক একবার চার্জ করার পর মুলত ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত ্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এটি চার্জ করতে যেকোনো সাধারণ ইলেকট্রিক আউটলেটে প্লাগটি লাগিয়ে দিন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই এটি পুরো চার্জ হয়ে যাবে।
Top 5 scooter in Bangladeshযেহেতু বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি, তাই নানা স্থানে যাওয়ার জন্য একটি ইলেকট্রিক বাইক অনেক বেশি কার্যকর।
সাধারন বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের সুবিধাবলী
সাধারন বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের প্রধান কিছু সুবিধা রয়েছে, এই যেমন
- প্রতিদিন নগদ টাকা দিয়ে আপনাকে ফুয়েল নিতে হচ্ছে না
 - রাস্তায় হঠাত ফুয়েল ফুরিয়ে যাবার কোন ঝামেলা নেই
 - সাধারন বাইকের মত দেখতে একি হলেও তুলনায় মেন্টেনেস করা সহজ।
 - ইলেকট্রিক স্কুটার ক্ষেত্রে মেরামত অনেক কম লাগে, আপনাকে শুধু নিশ্চিত হতে হবে যে ব্রেক প্যাড এবং টায়ারগুলোর অবস্থা ভালো রয়েছে।
 - গ্যাসোলিন বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইক খুবই সামান্য শব্দ করে চলে। অল্প পরিমাণ দূষণ করার কারণে, ইলেকট্রিক বাইক গ্যাসোলিন বাইকের তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশ বান্ধব।
 
সবচেয়ে ভালো গঠন এবং মডেলের বাইক
আসোলে ইলেকট্রিক বাইক কেনার সিধান্ত নেবার পরেই প্রথম যে সমস্যায় পড়বেন তা হল, কোন বাইকটি নিবেন তা নিয়ে দ্বিধাদন্দে পড়া।
পছন্দের মডেলটি বাছাই করা আপনার জন্য হতাশার হতে পারে, বিশেষ করে দাম অনুযায়ী ভালো মানের গঠন আর মডেলের বাইক নির্বাচন করার জন্য আপনাকে অনেক বেশি কুশলী হতে হবে।
ক্লাচ দীর্ঘ দিন ব্যাবহার এর টিপসইঞ্জিন গরম হবার কারন ও প্রতিক ারবাজারে বির মোটরস কর্পোরেশনের বিভিন্ন মডেলের বাইক পাওয়া যায়, যার মধ্যে বির ম্যাগনাম (Bir Magnum) অন্যতম। এই ইলেকট্রিক বাইক প্রতিবার চার্জ করার পর প্রায় ৭৬ কি. মি. পর্যন্ত যেতে পারে এবং প্রতিবার চার্জ করার জন্য খরচ হবে মাত্র ৫ টাকা। এই ইলেকট্রিক বাইকটি ঘণ্টায় ৫০ কি. মি. পর্যন্ত যেতে পারে যার মধ্যে জ্বালানি খরচ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এর বাইরেও আপনি আরও অনেক ধরণের মডেল বিবেচনা করতে পারেন। ওয়ালটন লিউ ৯০ (Walton Leo 90) হলো আরেকটি চমৎকার মোটরবাইক, যা বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায়। লিউ মডেলটি ৭০ কি. মি. পর্যন্ত মাইলেজ ছুতে পারে, যেখানে ওয়ালটনের স্টাইলেক্স (Stylex) মডেলটির মাইলেজ হলো ৫৫ কি. মি.।
ইলেকট্রিক বাইক কেনা ক্ষত্রে যে বিষয়ে নজর দিবেন
ক্রয় করার ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, আপনি যেই বাইকটি কিনতে চান, সেটি কেনার পূর্বে আ পনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি আইনসঙ্গতভাবে বিক্রি হচ্ছে কি না। আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, এর অবস্থা ভালো রয়েছে।
বাইকটি কেমন সে সম্পর্কে ধারণা নিতে বাইকটির বিভিন্ন রিভিউ দেখতে পারেন। সাইটে দেওয়া তথ্য গুলা ঘেটে দেখতে পারে যে এটিই আপনার জন্য সেরা বাইক কিনা।
আর যদি পুরাতন বাইক নিতে সে ক্ষেত্রে আপনাকে কি কি বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে তা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি আর্টিকেল আছে সেটা পড়ে দেখতে পারেন।
সবশেষে বাইক এখন আর বিলাসিতা না। এটি এখন দরকারি যানবাহন আমাদের জন্য। তাই আপনার প্রয়োজন, সামর্থ্য আর বাইকের কোয়ালিটি বিবেচনা করে নির্বাচন করুন।
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কি, কেন, কিভাবে?এয়ার ফিল্টারে অয়েল আসে কেন?