স্কুটার রাইডিং টিপস
September 11, 2019

একটা সময় স্কুটার শুধু নারীর বাহন ছিল। এখন উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক নারী যেমন বাইক চালাচ্ছে তেমনি পুরুষ স্কুটার চলকের সংখ্যাও চোখে পড়ার মত। স্কুটার এখন আর একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর বাহন না।
প্রায় সকল মার্কেট লিডিং মোটরবাইক কোম্পানি প্রতিনিয়ত মার্কেটে নতুন নতুন স্কুটার আনছে। ডিজাইন, পারফরমেন্স আর আউট লুক একে অন্যর চেয়ে অনন্য।
একটা সময় মানুষ স্কুটার পছন্দ করত কম গতির, কমিঊটার, নিরাপদ বাহন হিসাবে। কিন্তু এই ধরনার পরিবর্তন হচ্ছে। বেশ কিছু স্কুটার এসেছে যেগুলো স্পোর্টস বাইকের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে।
বাইকের মত স্কুটার চালাতেও কিছু সতর্কতা মানতে হয়। চলুন এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক…
# হেলমেট পরিধানঃ
যে কোন মোটর বাইক চালাতে সব সময় হেলমেট পরিধান করুন। স্কুটার এর গতি কম, কমিঊটার বাইক, আপনি আস্তে চালাবেন এই সব ভেবে হেলমেট থেকে বিরত থাকা চলবেন না। দুর্ঘটনা যে কোন গতিতেই মারাত্মক হতে পারে।
পাশাপাশি বাংলাদেশে আইনত হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো দণ্ডনীয় অপ্রাধ।খুব সামান্য অজুহাতে আমরা হেলমেট পড়া থেকে বিরত থাকি। এই যেমন ধরেন চুল নষ্ট হয়ে যাবে, বৃষ্টি হয়েছে এখন ধুলা নেই ইত্তাদি।
আর যারা হেলমেট পড়েন তারাও বেশির ভাগ পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিম্নমানের হেলমেট ব্যাবহার করেন। হেলমেট ব্যাবহার এর প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ মাথা টা কে সুরক্ষা দেওয়া।
# ব্যালেন্স ঠিক রাখাঃ
প্রতিটা যানবাহনের একটা নির্দিষ্ট গতি লিমিট থাকে। এর বেশি উঠানো যায় তবে নিরাপদ না। আর একটা জিনিষ আমরা সবাই জানি যে বাইকের গতি যত বেশি হবে বাইকের ওজন তত কমতে থাকবে।
আমি দেখছি বেশির ভাগ স্কুটার এক্সিডেন্ট ঘটে এই গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারনে। নিয়ন্ত্রিত গতি আর ব্যালেন্স ঠ িক রাখলে এই সব অনাকাংখিত দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- বাইক চালানোর নিরাপত্তার কথা বললে যে জিনিসটির কথা মনে পড়ে, সেটি হলো হেলমেট। আইন অনুযায়ী তো বটেই নিরাপত্তার জন্য বাইকে চালক ও আরোহী দুজনকেই মাথায় হেলমেট পরতে হবে।
- বাইকে চালক ও আরোহী—স্কুটিতে আরোহীর সংখ্যা কখনোই দুজনের বেশি হবে না। দুজনের মাথায়ই হেলমেট থাকতে হবে।
- হেলমেট আপনার মাপ অনুযায়ী কিনুন। বেশি আঁটসাঁট হেলমেট যেমন অস্বস্তির কারণ হতে পারে, আবার তেমনি মাথার চেয়ে বড় হলে এটি কপালে নেমে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেখে নিন হেলমেট পরে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিজের সঙ্গেই রাখুন।
- স্কুটি কিন্তু যেকোনো পোশাক পরেই চালানো যায়। তবে আপনি যে ধরনের পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সে রকমের পোশাক বেছে নেওয়াই ভালো।
- স্কার্ফ কিংবা ওড়নার দিকে খেয়াল রাখুন। এ ক্ষেত্রে ওড়না কিংবা স্কার্ফ একটু আঁটসাঁট করে রাখাই ভালো, তবে তা যেন আপনার অস্বস্তির কারণ না হয়।
- শহরের রাস্তায় লেন পরিবর্তন করাটা একটু ঝামেলাই বটে। সে ক্ষেত্রে রিয়ারভিউ মিরর তো রয়েছেই। লেন বদলানো বা মোড় ঘোরার সময় ইনডিকেটর জ্বালাতে হবে।
- বাইকের গতি ৪০ কিলোমিটারের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন। ফলে স্কুটি আপনার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
- একই সঙ্গে বাইক চালানোর সময় কানে হেডফোন না রাখাই ভালো। মনোযোগ তো নষ্ট হয়ই, সঙ্গে আশপাশের শব্দও আপনি শুনতে পাবেন না।
বাইকের যত্নআত্তি
- বাইকটি নিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে। কেননা যেকোনো যানবাহনের জন্য সার্ভিসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- সময়মতো মোবিল বদল করুন।
- ইঞ্জিন ছাড়া আপনার সাধের বাইক একটুও নড়বে না। তাই খেয়াল করুন ইঞ্জিন কিংবা অন্য যেকো নো অংশ পরিষ্কার আছে কি না।
- আর যেকোনো সমস্যা দেখা গেলে দ্রুত সারিয়ে নিন।
- ধুলোবালি থেকে পরিত্রাণ পেতে স্কুটির ওপর সব সময়ই একটি প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে রাখুন।